লো ব্লাড প্রেশারের সমস্যা? হঠাৎ কমে গেলে এই নিয়মগুলি মেনে চলুন জরুরি অবস্থায় কী করবেন?

 চ্চ রক্তচাপের মতোই ভয়ঙ্কর নিম্ন রক্তচাপ। প্রেশার ফল করলে হতে পারে বিপদ। পরিস্থিতি সামলাতে জেনে রাখা দরকার এই কয়েকটি বিষয়। রোজকার ব্যস্ত জীবনে নানান বেনিয়মের ফলে শরীরে রক্তচাপের (Blood Pressure) ওঠানামায় প্রভাব পড়ে। অনেকেই মনে করেন উচ্চ রক্তচাপের (High Pressure) থেকে নিম্ন রক্তচাপ (Low Pressure) কম ভয়ের। কিন্তু তা একেবারেই নয়। চিকিৎসকদের মতে, লো ব্লাড প্রেশার বা হঠাৎ প্রেশার কমে যাওয়াতেও বিপদ রয়েছে। লো ব্লাড প্রেশারের ফলে হৃৎপিণ্ডে, মস্তিষ্কে ও শরীরের অন্যান্য অংশে রক্ত সঞ্চালনের (Blood Circulation) পরিমাণ কমে যায়। যার ফলে মাথা ঘোরা, দুর্বলতা এমনকী বমি বমি ভাব বেড়ে যায়। আবার হঠাৎ প্রেশার কমে গেলেও বিপদ। শুয়ে বসে থাকা অবস্থা থেকে হঠাৎ জেগে উঠলে রক্তচাপে ব্যাঘাত ঘটে। এর ফলে স্ট্রোকের সম্ভাবনাও বাড়ে। ব্লাড প্রেশারের হঠাৎ কমে যাওয়ার ফলে শরীর ভারী লাগতে পারে। এই অবস্থায় স্বাভাবিকত্ব বজায় রাখা অত্যন্ত জরুরি। জেনে নিন হঠাৎ ব্লাড প্রেশার কমে গেলে কী করবেন। স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের মতে, হঠাৎ ব্লাড প্রেশার কমে গেলে চা অথবা কফি পান করতে হবে। কফিতে থাকা ক্যাফিন সাময়িকভাবে ব্লাড প্রেশার বাড়াতে সাহায্য করে। শুধু তাই নয়, এর ফলে ক্লান্ত ভাবও কিছুক্ষণের জন্য দূর হবে।  লো ব্লাড প্রেশারের রোগীদের ক্ষেত্রে ডায়েটে অবশ্যই পানীয় বেশি করে রাখা উচিত। প্রতিদিন দুই থেকে তিন লিটার জল খেতে পরামর্শ চিকিৎসকদের। এছাড়াও প্রতিদিনের খাবারে নারকেলের জল-সহ অন্যান্য পুষ্টিকর ফলের রস, স্যুপজাতীয় খাবার রাখা বাধ্যতামূলক। উক্ত ডায়েটের ফলে শরীরে জলের মাত্রা বজায় রাখতে প্রয়োজনীয় ইলেকট্রোলাইটের ঘাটতি মেটানো যাবে। জেনে রাখা ভালো, লো ব্লাড প্রেশারের অন্যতম কারণ হল ডিহাইড্রেশন। ডায়েটিশানদের পরামর্শ অনুযায়ী, লো ব্লাড প্রেশারের রোগীদের রোজ সকালে উঠে কমপক্ষে পাঁছ থেকে সাতটি তুলসী পাতা চিবোনো শরীরের পক্ষে ভালো। তুলসী পাতার মধ্যে উচ্চমাত্রায় পটাশিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম ও ভিটামিন সি রয়েছে যা ব্লাড প্রেশারকে নিয়ন্ত্রিত রাখে। এছাড়াও তুলসী পাতায় রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ইউজিনোল নামের অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। ব্লাড প্রেশার নিয়ন্ত্রণে রাখার পাশাপাশি কোলস্টেরলের মাত্রাও কমাতে সাহায্য করে এটি। লো ব্লাড প্রেশারের রোগীদের জন্য সময়মতো খাওয়াদাওয়া করা অত্যন্ত জরুরি। ভারী খাবারের মাঝে স্বাস্থ্যকর মুখরোচক খাবার খেতে হবে। বিশেষজ্ঞদের মতে, দিনে ৩ বার ভারী খাবার খাওয়ার থেকে পাঁচবার অল্প অল্প করে খাওয়া বেশি উপকারী। এর ফলে ব্লাড প্রেশারও হঠাৎ কমে যাওয়া আটকানো সম্ভব। 




Comments

Popular posts from this blog

Immunity Boosters: ঋতু পরিবর্তনে রোগের প্রকোপ! এই পাঁচ খাবারেই লুকিয়ে শক্তিশালী ইমিউনিটির রহস্য

Goat milk is the new the magical ingredient for skin care lovers

Beauty benefits or neem, tulsi, sandalwood and more